জাহাঙ্গীর বাদশার রিপোর্ট:পাথরপ্রতিমায় কুমির আতঙ্ক যেন ছাড়ছে না এলাকাবাসীকে,মাঝেমধ্যেই কুমির ঢুকে পড়ছে লোকালয়ের গৃহস্থের পুকুরে কিংবা খালে।এই সমস্যা সমাধানে হিমশিম খাচ্ছে বনদপ্তর।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা গ্রাম পঞ্চায়েতের দে মার্কেট কিশোরী নগর সংলগ্ন এলাকার খোকন বেরা গতকাল বিকালের পুকুরে নেমে দেখতে পায় পুকুরের বাস লাফালাফি করছে, পুকুর থেকে উঠে মাছ কেন লাফাচ্ছে লক্ষ্য করতেই চক্ষু চড়ক গাছ, বিশাল একটি কুমির,আতঙ্কে চিৎকার শুরু করে খোকন বেরা,আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর দেওয়া হয় ভাগবতপুর রেঞ্জের বনদপ্তরের কর্মীদের।কিছুক্ষণের মধ্যেই বনদপ্তরের কর্মীরা স্থলে পৌঁছে পুকুরটিকে জাল দিয়ে ঘিরে দেয়, গতকাল থেকে সারা রাত্রি ধরে কুমির ধরার জন্য বারবার জাল টানতে থাকে।
শেষ পর্যন্ত পুকুরে বসানো হয় চারটি মেশিন, সকাল ৭টা র মধ্যে পুকুরে জল কমিয়ে দেওয়া হয়। আর জল কমতেই পুকুরে দেখা যায় দৈত্যাকার কুমির। জাল দিয়ে ধরতে সফল হয় বনকর্মীরা। কমিটিকে ইতিমধ্যেই ভাগবতপুর কুমির প্রকল্পে নেয়া হয়েছে, সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর ভাগবতপুর প্রকল্পে রাখা হবে কুমিটিকে।কিন্তু বারবার কেন নদী ছেড়ে লোকালয়ে কুমির আসছে তাই নিয়ে চিন্তিত বনদপ্তর।
গত কয়েকদিন আগে এক মাসের মধ্যে দু দুবার এই পাথর প্রতিমার রাক্ষস খালি এলাকায় একই গৃহস্থের পুকুরে কুমির ঢোকে।দুবার বনদপ্তর কুমির ধরে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে ভাগবতপুর কুমির প্রকল্পে ছেড়ে দেয়
হঠাৎ আবার পাশের অঞ্চলে কুমির আশায় আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভাগবতপুর রেঞ্জের কর্মীরা এসে কুমিরটি ধরায় খুশি এলাকাবাসী।
0 মন্তব্যসমূহ