চলুন সবাই আদিত্যর পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই।
অস্মিকার মতোই একরত্তি আদিত্যর শরীরেও শেষমেশ বাসা বাঁধল জিনগত জটিল বিরল রোগ SMA।
সারাতে লাগবে ৫ কোটির ভ্যাকসিন!
সময় আর কতদিন?
যত বড় হচ্ছে আদিত্য, ভয় বাড়ছে বাবা-মায়ের!
বাবা হোটেল কর্মী, মা গৃহবধূ। কিভাবে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো অবস্থা এই পরিবারটি ৫ কোটি টাকা জোগাড় করবে?
ভ্যাকসিন দিলেই কি স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে আদিত্য?পূর্ব মেদিনীপুর জেলার
তমলুকের আদিত্যর জন্য লড়াইয়ে সামিল হোন সকলে!
হাত বাড়িয়ে দিন "ক্রাউড ফান্ডিং"এ!
মুখ ফিরিয়ে নেবেন না। জিতে যাওয়ার লড়াইয়ে ছোট্ট আদিত্যর পাশে থাকুন। SMA তে আক্রান্ত। স্পাইনালের অন্যতম জটিল রোগ। "স্পাইনাল মাসকুলার অট্রোফি টাইপ টু"। একটা জেনেটিক ডিসঅর্ডার। জিনগতভাবে হয়।
যেহেতু নার্ভ আর পেশীকে এফেক্ট করে তাই হাত পায়ের নার্ভ ও পেশী শিথিল হতে থাকে।
বাকি পাঁচটা বাচ্চার মত আদিত্য দাঁড়াতে পারে না।
ছুটতে পারে না, চলতে পারে না।
শ্বাসকষ্টে ভোগে।
আড়াই বছর বয়স।
এই বয়সে অন্য বাচ্চারা যখন স্কুলে যাচ্ছে, খেলাধুলা করছে; তখন আদিত্যকে কোলে নিয়ে চোখের জল ফেলছেন তার মা অর্চনা প্রধান।
সকলের কাছে সাহায্য চাইছেন ছোট্ট আদিত্যকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।
আদিত্যর বাবা বাপন প্রধান হোটেল বয়। একজন অতি সাধারণ হোটেল কর্মীর পক্ষে পাঁচ কোটি টাকা যোগাড় করা দুঃসাধ্য ব্যাপার। ফলে, এমন এক জটিল রোগে আক্রান্ত আদিত্যকে সুস্থ করা এখন তার বাবা-মায়ের কাছে যেন একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। তবে
আশার আলো আছে।
শুধু ওই একটা ভ্যাকসিন।
নাম রিসডিপ্লাম।
দাম পাঁচ কোটি টাকা।
আর ওই টাকা জোগাড় করতেই হিমশিম খাচ্ছে আদিত্যর পরিবার।
কিন্তু তবু ছোট্ট আদিত্যকে বাঁচানোর লড়াই, স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেওয়ার লড়াইয়ে হার মানতে নারাজ তাঁর বাবা-মা। হাত জোড় করে মানুষের কাছে প্রার্থনা করছেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য।
ছোট্ট অস্মিকার কথা মনে আছে রানাঘাটের? অনন্তকাল সময় ছিলনা তার হাতে। কোটি টাকার একটা ইঞ্জেকশন দরকার ছিল! মেয়েকে সুস্থ করতে তুলতে আম জনতার দরজায় দরজায় কড়া নেড়েছিল দাস পরিবার। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে চিকিৎসার খরচ তুলেছিলেন শুভঙ্কর-লক্ষ্মীরা। তাহলে আদিত্য পরিবার পারবেনা কেন? কেন আদিত্য বেলায় প্রত্যেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে না? একটা সুস্থ স্বাভাবিক জীবন আদিত্যর কি প্রাপ্য নয়? সাহায্য চাইছেন বাবা-মা। তাঁদের দুশ্চিন্তা কমছে না। প্রতি মাসে ৬ লক্ষ টাকার ওষুধ। কিভাবে সম্ভব এত খরচ টেনে নিয়ে চলা? না কোনো মারণ রোগ নয়। কিন্তু ওই জটিল রোগের চিকিৎসার খরচ কল্পনার অতীত। তাই আদিত্যর পরিবারের হয়ে প্রত্যেকের কাছে একটাই আবেদন যে যেভাবে যতটুকু পারেন, আর্থিক সাহায্য যেন করেন। তাহলেই আদিত্য ভবিষ্যতে সোনালী দিনের দেখা পাবে। উঠে দাঁড়াতে পারবে। হাঁটবে, চলবে। বাবা মায়ের মুখে হাসি ফোটাবে।খবরে কমেন্ট বক্সে স্কেনার দেওয়া রইলো সঙ্গে ফোন নাম্বার। জে যার সাধ্য মতো ইচ্ছে মতো আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।
জাহাঙ্গীর বাদশার রিপোর্ট
0 মন্তব্যসমূহ