জাহাঙ্গীর বাদশার রিপোর্ট:দেশ জুড়ে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হলো দোল উৎসব। আর এই দোল পূর্ণিমা তিথি নবদ্বীপ তথা নদীয়া বাসীর কাছে এক অন্য গুরুত্বপূর্ণ বড় উৎসব, কারন এই দোল পূর্ণিমা তথা গৌড় পূর্ণিমা তথিতে জন্ম গ্রহন করেছিলেন শ্রীমন মহাপ্রভু, আর তাই এই দোল উৎসবে নবদ্বীপ সর্বত্রই মহাসমাবেশ পালিত হয় গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর শুভ আবির্ভাব তিথি মহোৎসব।
এবছর শ্রীমন মহাপ্রভুর ৫৩৯ তম শুভ আবির্ভাব তিথি।আর এই উপলক্ষ্যে নবদ্বীপের বিভিন্ন মঠ মন্দিরের পাশাপাশি মহাপ্রভু পরাস্থিত ধামেশ্বর মহাপ্রভু মন্দিরেও আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের, যার সূচনা হয়েছিল গত ২১শে মার্চ,।
ধামেশ্বর মহাপ্রভু মন্দিরের সভাপতি সুদিন গোস্বামী জানান শুভ অধিবাসের মধ্য দিয়ে, এর পর প্রতি দিনি অনুষ্ঠিত
হয় বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সহ, লীলা কির্ত্তন,পদাবলী কির্ত্তন, বৃন্দাবনীঘরানা কির্ত্তন সহ নদের নিমাই নামক এক নাটকের।
২৫ শে মার্চ দোল পূর্ণির দিন অনুষ্ঠিত হয়েছে মহাপ্রভুর মহা অভিষেক অনুষ্ঠান, আর মঙ্গলবার ২৬শে মার্চ অনুষ্ঠিত হলো মহাপ্রভুর শুভ অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান।
তিনি জানান এই অনুষ্ঠানের একাধিক বৈশিষ্ট্য থাকে, যেমন এবছর বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর বংশের মায়েরা নিজে হাতে তৈরী করেছে প্রায় কুড়ি ধরনের চাটনি, রয়েছে কয়েক ধরনের শাক সহ বিভিন্ন ব্যঞ্জন, এ ছাড়াও দিল্লির গুড়গাও, থেকে আনা হয়েছে এক বিশেষ মিষ্টি, যা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না, সাথে শক্তিগড়ের ল্যংচা, কৃষ্ণ নগরের সরভাজা-সরপুরিয়া,বহরমপুরের ছানা ভাজা হয় বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি, সহ পঞ্চব্যাঞ্জন, যা ১০৮ টি প্লেটে সাজিয়ে ভোগ নিবেদন করা হবে, এ ছাড়াও যেভাবে অন্নকূট মহোৎসবে অন্ন দিয়ে গিরি গোবর্ধন পর্বত তৈরী করা হয়, এদিনও দু - কুইন্টাল অন্ন দিয়ে তৈরী করা হবে গিরি গোবর্ধন পর্বতের প্রতিকৃতি।
এ ছাড়াও এদিন পাঁচ থেকে ছয় হাজার ভক্ত দের মধ্যে বিতরণ করা হবে মহা প্রসাদ।আর এবছরের দোল উৎসবের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে ২৭শে মার্চ।পাশাপাশি তিনি আরও বলেন বিগত বছরের থেকে দোল উৎসবে এবছরের ভক্ত সমাগমের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি।
আর এদিনের মহাপ্রভুর শুভ অন্নকূট উৎসব অনুষ্ঠান দেখতে ও প্রসাদ পেতে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিলো যথেষ্ট চোখে পড়ার মতো।
0 মন্তব্যসমূহ