জাহাঙ্গীর বাদশার রিপোর্ট : ইডি সিবিআই এর ভয় দেখিয়ে বারংবার রাজ্যের শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেস কে কোনঠাসা করার চেষ্টা করেও , ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য বিজেপি।এর সূত্রপাত ঘটেছিল গত বিধানসভা নির্বাচন থেকে,আর তাতে লাভ কিছু হয়নি বঙ্গ বিজেপির।উল্লেখ্য তার পর থেকে যত নির্বাচন হয়েছে সবগুলো তেই অনেক পিছিয়ে পড়েছে বিজেপি।তবে এই ইডি সিবিআই এর ভয় প্রসঙ্গে বারবার খোলা মঞ্চ থেকে হুংকার দিয়েছে বিজেপি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।আর এই নিয়েই হুগলি তে একটি সভা থেকে ঘুরিয়ে শুভেন্দু অধিকারী কে বিধলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, সমস্ত বিষয়ে ইডি সিবিআই এর ভয় দেখিয়ে ক্ষমতায় আসা যায় না,বা সংগঠন মজবুত হয় না, মানুষের কাজ করতে হবে ও সংগঠনের প্রতি নজর দিতে হবে।আর সুকান্ত মজুমদার এর এই মন্তব্য ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যের শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেসের নেতারা।সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, পরিশ্রম করে সংগঠন মজবুত করতে হবে। পিছিয়ে পড়া এলাকায় জোর দিতে হবে। কর্মীদের মনোভাব থাকে, ভোটের আগে নেতাদের জেলে ঢুকিয়ে দিন,আমরা সহজেই দিতে যাবো, কিন্তু তা বাস্তবে সফল হয়নি।তাই কর্মী ও নেতাদের এই মনোভাব থেকে সরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
তবে প্রশ্ন উঠেছে,এটা কি সুকান্ত মজুমদার এর নিজস্ব ভাবনা? নাকি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ? সেই নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।উল্লেখ্য দীর্ঘ সময় ধরে বীরভূম জেলার দাপুটে নেতা অনুব্রত মন্ডল,বেহালার নেতা তথা প্রাপ্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ অনেক নেতাই জেলে থাকা অবস্থায় অনেক নির্বাচন হয়েছে, কিন্তু তাতে বিজেপি কোনো সুবিধা করতে পারেনি, বরং ভোটব্যাঙ্ক বেড়েছে তৃণমূল এর।আর এই থেকে শিক্ষা নিতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এর এমন ঘোষণার পরপরই উঠছে প্রশ্ন? নতুন ভাবনা চিন্তা তে সংগঠন এই রাজ্যে সাজাতে চলেছে বিজেপি,,সরে আসছে এই ধমকানি চমকানি রাজনীতি থেকে,এমনটাই মনে করছেন আমজনতা।
তবে এই ইডি সিবিআই এর মন্তব্য সবথেকে বেশি শুভেন্দু অধিকারী ই প্রকাশ্য সভা থেকে করেছেন ,তাই সেই পথে গোটা বিজেপি নেতৃত্ব পরিচালিত হয়েও কোনো লাভ হয়নি,এর ফলে বরং সরে গিয়েছে বিজেপির পায়ের তলার মাটি,তাই এই পথ থেকে সরে দাঁড়ানোর নীতি গ্রহণ করতে পারে বিজেপি ।
0 মন্তব্যসমূহ