জাহাঙ্গীর বাদশার রিপোর্ট : কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙালি আর সেই বাঙালির মুখে এবার ফুটবে হাসি... প্রায় ১০ টন ইলিশ ধরা পড়ল মৎস্যজীবীদের জালে। বহুদিন ইলিশের খরা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত ইলিশ মাছের মুখ দেখল মৎস্যজীবীরা। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়লো প্রায় ১০ টন ইলিশ..
আগামী দুদিন আরো ইলিশ ঢুকবে বলে ঘাট গুলিতে জানা যাচ্ছে এমনটাই... সমুদ্র যেভাবে উত্তাল ছিল তাতে মৎস্যজীবীদের পক্ষে মাছ ধরার সত্যিই অসম্ভব ব্যাপার হয়ে উঠেছিল... মৎস্যজীবীদের জারি করা হয়েছিল সতর্কতা... ঠিক তার পরেই অবস্থা একটু অনুকূল হতেই মাছ ধরতে বেরিয়ে পড়েছিলেন মৎস্যজীবীরা.. আর তাতেই ঝাকে ঝাকে জালে ধরা দিল রূপলি শস্য... বেশিরভাগ ইলিশের ওজন ৭০০ গ্রামের উপরে বলে জানা গেছে।
চলতি বছরে ১৫ জুন থেকে শুরু হয়েছিল ইলিশ ধরার মরসুম। বৃষ্টির ঘাটতির জন্য সমুদ্রে গিয়েও কার্যত খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল কয়েক হাজার ট্রলারকে। এরপর গত ১৫ দিন ধরে সমুদ্র উত্তাল থাকায় বারে বারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ছিল। এরই মধ্যে নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর সমুদ্র পাড়ি দেয় মৎস্যজীবীরা। বৃষ্টি শুরু হয় সঙ্গে পুবালী বাতাস। অনুকুল পরিবেশ তৈরী হতেই জালে পড়তে শুরু করে ঝাঁকে ঝাকে ইলিশ। সেই ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছে মৎস্যজীবী ট্রলারগুলি। এবার কমবে ইলিশের দাম এমনটাই মনে করা হচ্ছে
এর সুন্দরবন বনের নামখানায় দেড় কিলো ওজনের ইলিশ ও নিলাম হয়েছে... ইতিমধ্যেই ডায়মন্ড হারবার এর মাছের আড়তের মাছ পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে.. ইলিশ মেলায় বেজায় খুশি ট্রলার মালিক থেকে আরতদার, মৎস্যজীবী থেকে সাধারণ ক্রেতারা।
0 মন্তব্যসমূহ