Header Ads Widget

ERTERTERT

লটারির টিকিট চুরি করতে গিয়ে জনতার প্রহার, শ্রীঘরে ঠাঁই যুবকের

জাহাঙ্গীর বাদশার রিপোর্ট :লাখপতি হওয়ার স্বপ্নে লটারির টিকিট চুরি করতে গিয়েছিল যুবক। শেষমেস ধরা পড়ে গিয়ে জনতার হাতে উত্তমমধ্যম খেয়ে ঠাঁই হল শ্রীঘরে। গোরু চুরি, বিলিতি মদের দোকান থেকে দামি মদের বোতল চুরির পর এবার লটারির টিকিট চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মহিষাদলে। মঙ্গলবার সন্ধেয় এক অভিনব চুরির ঘটনার সাক্ষী রইল মহিষাদল। ওইদিন সন্ধে নাগাদ মহিষাদল সিনেমা মোড়ে লটারির টিকিট চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়।


লাখপতি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর মধ্য তিরিশের এক যুবক সিনেমা মোড়ে একটি লটারি দোকানে হানা দেয়। এর আগেও ওই যুবক কয়েক হাজার টাকার লটারি টিকিট চুরি করেছিল ওই দোকান থেকে। তখন ধরতে না পারলেও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে 'চোর'কে চিহ্নিত করেছিলেন দোকানের মালিক। তবে প্রথমবার টিকিট চুরি করে কয়েক হাজার টাকা ছাড়া খুব একটা লাভ করতে পারেনি ওই যুবক। তাই ফের লটারি টিকিট চুরির পরিকল্পনা করে সে।

ওইদিন সন্ধে ৬ টা নাগাদ ওই যুবক ফের দোকানে ঢুকে টিকিট চুরির সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে যায়। দোকানে হইচই শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। 'চোর'কে হাতের নাগালে পেয়ে চলে উত্তমমধ্যম। পুলিস এসে তাকে উদ্ধার করে। শেষে জখম 'চোর'কে মহিষাদলে বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। 


লটারি দোকানের মালিক সনাতন দাসাধিকারী বলেন, আমরা লটারি টিকিটের হোলসেল ব্যবসা করি। সিনেমা মোড়ে স্থায়ী দোকান রয়েছে। কলকাতা, বেলদা থেকে এখানে লক্ষ লক্ষ টাকার টিকিট এনে ব্যবসা করি। মাসখানেক আগে দোকানে কয়েক হাজার টাকার টিকিটের ঘাটতি দেখে সন্দেহ হয়। তখন সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানতে পারি এক ব্যক্তি কর্মীদের ব্যস্ততার সময় টিকিট চুরি করেছে। ওইূিন কালো রঙের টি শার্ট পরেছিল ওই ব্যক্তি। 

প্রায় চার হাজার টাকার টিকিট চুরি করেছিল সেবার। সেজন্য আমাদের কয়েক হাজার টাকা ফাইন দিতে হয়েছিল। এদিন ওই একই ব্যক্তি লাল রঙের টি শার্ট পরে দোকানে ঢুকে টপাটপ পকেটে টিকিট ঢুকিয়ে নিচ্ছিল। ওইসময় তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন বলে জানান সনাতনবাবু। ওই ব্যক্তির পকেট থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকার চুরি হওয়া টিকিট উদ্ধার হয়েছে।

এদিকে মহিষাদল এখন চুরি ছিনতাইয়ের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। দামি মোবাইল নিয়ে মহিষাদলের যেকোনও রাস্তায় বেরনো এখন আতঙ্কের, বলছেন ভুক্তভোগীরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা থেকে শুধু নয়, দিনে বা রাতে বাড়িতে ঢুকে মোবাইল হাপিস করে দিচ্ছে একটি চক্র। বাজার এলাকা থেকে চুরি যাচ্ছে মোটরবাইক। কয়েকদিন আগে মহিষাদলের কাঁকুড়দা এলাকায় একটি বিলিতি মদের দোকান থেকে লক্ষাধিক টাকার চুরি হয়েছে। প্রায় ১২ হাজার টাকার বিলিতি মদের বোতল, ৭০ হাজার টাকা নগদ, টেস্টিং মেশিন, সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। দোকানের মালিক সুমন কল্যাণ করণ এই মর্মে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেন। মহিষাদলের বাসিন্দারা বলেন, এখন চুরির ধরন পাল্টে যাচ্ছে। কখনও শুনিনি 'চোরে'রা মদ দোকান, লটারি টিকিট চুরি করছে। মহিষাদলের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অশোক লাটুয়া, শশধর মাইতিদের অভিযোগ, ছিঁচকে চোরের উৎপাতে এলাকার মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মহিষাদলের বাসিন্দা সঞ্জয় চক্রবর্তীর রথের মেলায় এসে বাইক খুইয়ে মাথায় হাত পড়েছে। তিনি আবার মহিষাদলের রথের সারথি হন প্রতিবছর। এঘটনা জানার পর স্থানীয়রা মজা করে বলছেন, জগন্নাথদেবের ঘনিষ্ঠ হয়েও ওনার বাইক খোয়া গিয়েছে, তাহলে আমজনতার কী হবে?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ