শুক্রবার রাতে হাজার বাতি আর সানাই এর মূর্ছনায় ভেসে গেল পাঁউশির অন্ত্যেদয় আশ্রম। আশ্রমের চার কন্যা সহ নয় কন্যার শনিবার শুভ পরিণয়। শুক্রবার তাই অন্ত্যোদয় অনাথ আশ্রমের নয় কন্যার আইবুড়ো ভাত, আশীর্বাদ, গায়ে হলুদ,মেহেন্দী আর সঙ্গীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন আশ্রম কর্ণধার বলরাম করণ। শুধু অনাথ শিশুদের পিতৃস্নেহে পালন নয়,বাবার দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ থেকেই অন্ত্যেদয় অনাথ আশ্রম ও আশ্রম পরিচালিত স্নেহছায়া হোম ও স্থানীয় গ্রামের নয় কন্যাকে সুপাত্রে পাত্রস্থ করতে চলেছেন আশ্রমের কর্ণধার বলরাম করন।
ছোটবেলার থেকে নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে জীবনের পথচলা শুরু করে নয় কন্যার ঠাঁই অন্ত্যোদয় অনাথ আশ্রমে। এখানে এসে তারা বহুগুনের সমাবেশ ঘটিয়ে ও আশ্রমের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় নিজেদের স্বাবলম্বী করে তোলে। পরিবারহারা মেয়েদের পরিবার এর স্বাদ দিতেই গণ বিবাহ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই আশ্রম কন্যাদের পাত্রস্থ করতে এই উদ্যোগ অন্ত্যেদয় অনাথ আশ্রমের কর্ণধার বলরাম করণের। এর আগে বলরামবাবু নিজের তিন কন্যা সহ আশ্রমের ও স্থানীয় গ্রামের চল্লিশ জন কন্যার গণ বিবাহ দিয়েছেন।
আশ্রমিক কন্যাদের গণ বিবাহ অনুষ্ঠান কে সফল করতে সব রকমের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বিশিষ্ট উদ্যোগপতি ভি কে ভান্ডারী ও তাঁর সংস্থা সুপারট্রন ফাউন্ডেশন। নয় কন্যাকে পাত্রস্থ করতে আসবাবপত্র,আলমারি ইত্যাদি দান সামগ্রী সহ নব দম্পতি কে বিভিন্ন সোনার গয়না উপহার দেওয়া হয়েছে। শনিবার রাতে কলকাতার চক্রবেড়িয়াতে গণ বিবাহ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তার আগে শুক্রবার রাতে পাঁউশি অন্ত্যোদয় অনাথ আশ্রমে আশ্রমিক কন্যাদের গায়ে হলুদ, আশীর্বাদ ও মেহেন্দী অনুষ্ঠান নিয়ে আনন্দ উচ্ছ্বাস মেতে উঠে নাচ গান পরিবেশন করে আশ্রমের অন্যান্য আবাসিকরা।
শুক্রবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ভগবানপুর -২ ব্লকের বিডিও নৃপেণ বিশ্বাস, ভগবানপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামলী গিরি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারিক সুদীপ্ত বিশ্বাস, ইউনিসেফের জেলা কো- অর্ডিনেটর মৃণাল কান্তি ভট্টাচার্য ও জেলা পরিষদ সদস্য মানব পড়ুয়া প্রমুখ সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। সর্ব শেষে উপস্থিত সকলে নয় কন্যাকে আশীর্বাদ করেন ও তাঁদের আনন্দময় ভবিষ্যৎ জীবন কামনা করেন।
উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার CWC চেয়ারপার্সন জীবনানন্দ দাস মহাশয়
0 মন্তব্যসমূহ