কখনো বসে পড়ছেন মাটির দাওয়ায় চাটাই পেতে, আবার কখনো রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বললেন মানুষের সাথে।
সাইকেল নিয়ে হঠাৎ বাড়ির উঠোনে হাজির তিনি!
হ্যাঁ, এমনই ছবি উঠে এলো গ্রাম বাংলার ক্যামেরায়। সকাল সকাল সাইকেল নিয়ে সদলবলে ব্লক প্রশাসনের কর্মীদের নিয়ে মানুষের দুয়ারে হাজির হচ্ছেন সারেঙ্গার বিডিও, সঙ্গে রয়েছেন জয়েন্ট বিডিও। সাইকেল নিয়ে চষে বেড়াচ্ছেন একের পর এক গ্রাম ও সারেঙ্গা ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকা। ২৩শে জানুয়ারী, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন। নেতাজীর প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ অর্পণ করে জয়েন্ট বিডিও এবং অন্যান্য কয়েকজন কর্মীকে নিয়ে সাইকেলে বেরিয়ে পড়েন সারেঙ্গা ব্লকের সারেঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের আদিবাসী অধ্যুষিত মুড়কু, আমডাঙ্গা এলাকায়। যার দূরত্ব ব্লক অফিস থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার। ঐ গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কখনো খাটিয়াতে বসে, কখনো মাটির দাওয়ায় চাটাই পেতে পরিবারের সদস্যদের সাথে বসেই শুনলেন তাদের অভাব অভিযোগ ও সমস্যার কথা। জানতে চাইলেন কোন প্রকল্পের সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত আছেন কিনা? একের পর এক বাড়ীতে ঢুকে খোঁজ নিলেন মানুষের অভাব অভিযোগের। নিজের হাতে পূরণ করলেন আবেদন পত্র। কয়েকদিন পরে এসে আবারো খোঁজ নেবেন বলেও দিলেন আশ্বাস। পাশাপাশি যে কোন প্রয়োজনে তাকে জানানোর অনুরোধও করলেন সারেঙ্গা ব্লক উন্নয়ন সমষ্টি আধিকারিক তমালকান্তি সরকার।
শুধু সারেঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতই নয় বিডিও তমাল কান্তি সরকারকে ঘুরছেন একেরপর এক গ্রাম, সারেঙ্গা ব্লকের চিলতোড় গ্রাম এর চাকনাড়া গ্রামে গিয়েও খোঁজ নিলেন মানুষের । আদিবাসী পরিবারের দাওয়ায় বসে প্রত্যেকের অভাব অভিযোগ শুনলেন। উল্লেখ্য, গত ২০শে জানুয়ারী থেকে ১২ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলছে সমস্যা সমাধান ও জনসংযোগ কর্মসূচী। সেই কর্মসূচীর অংশ হিসেবেই তারা হাজির হচ্ছেন গ্রামে গ্রামে। আর এই কর্মসূচীর সার্থক রুপায়নের জন্য আদিবাসী বৃদ্ধার বার্ধক্য ভাতার ফর্মও থেকে লক্ষী ভান্ডারের আবেদন পত্র নিজের হাতে পুরন করে দিলেন বিডিও সাহেব। আর এরকমের এক কর্মকাণ্ডে স্বভাবতই খুশি উপভোক্তাদের পরিবার।
জাহাঙ্গীর বাদশার রিপোর্ট jb নিউস
0 মন্তব্যসমূহ