জাহাঙ্গীর বাদশাররিপোর্ট :কথায় বলে কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে' এ যেন তেমনি জলজ্যান্ত উদাহরণ কাঁথিতে। কাঁথি পৌর সভার অস্থায়ী কর্মী। যার পরিবার প্রতিপালন করতে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। পৌরসভায় রোজ মজুরির কর্মী লালমোহন মন্ডল। দেশপ্রাণ ব্লকের অযোধ্যাপুর গ্রাম বাড়ি। প্রতিদিন কাঁথি পৌরসভায় হাজিরায় পায় মাত্র ৩১৫ টাকা । এর উপরেই দুই কন্যা ও স্ত্রী নিয়ে সংসার জীবন যুদ্ধ।
মন্ডল দম্পতির জীবনের প্রথম বাবা মা হওয়ার সুবাদেও যেন ভগবানের খামখেয়ালিপনা। বড় কন্যা ঈশিতা মন্ডল জন্ম থেকেই মুকবধির। ছোট বেলা মুক বধির স্কুলে পড়লেও ।পঞ্চম শ্রেণী থেকে বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের সাথে না পড়ে ।
আর পাঁচটা সাবলীল ছেলে মেয়ের মতই বাকি দের পাল্লা দিয়ে চলেছে ঈশিতা।দুই বোনই কাঁথি চন্দ্রমনি ব্রাহ্ম বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। ছোট বোন সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। মা ছন্দা মন্ডল গৃহ বধূ। বড় মেয়ের সাথে ছোট মেয়েকেও মাথা তুলে দাঁড়ানোর শিক্ষাই দিতে চান তিনি।
নানা সামাজিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ঈশিতা আগামী দিনে কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে এগোতে চায়। মন্ডল দম্পতি ও মেয়ের সেই ইচ্ছা পূরণের লক্ষ্যে অবিচল। কিন্তু এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে লালমোহনের ৩১৫ কি হবে ? তাই ছন্দা ও কাজে লেগে পড়ে।
স্বামী ও দুই মেয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর অবসরে কাগজের ঠোঙা তৈরি করেন বাড়িতে। তা দিয়ে গুঁটি কয়েক পয়সা আসে বটে। এবারে মেয়ে এত কিছু প্রতিবন্ধকতা পেয়ে জীবনের দ্বিতীয় বড় পরীক্ষায় বসতে চলেছে আর এতেই উদ্বিগ্ন মন্ডল দম্পতি।
0 মন্তব্যসমূহ