জাহাঙ্গীর বাদশার রিপোর্ট :দিঘা থেকে দুই জঙ্গী গ্রেফতার।।পরিচয় গোপন করে লুকিয়ে ছিল, কলকাতার উপকণ্ঠ থেকে NIA-র হাতে গ্রেফতার বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডের ২ অভিযুক্ত।
জানা গিয়েছে, কলকাতার উপকণ্ঠেই লুকিয়ে ছিল দুই অভিযুক্ত। তারা পরিচয় গোপন করে থাকছিল। আজ এনআইএ, পশ্চিমবঙ্গ, তেলঙ্গানা, কর্নাটক ও কেরল পুলিশের ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের যৌথ অভিযান করে অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করে। অবশেষে নাগালে এল বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্তরা।
বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে আইইডি বিস্ফোরণে জড়িত দুই অভিযুক্তকে অবশেষে গ্রেফতার করল এনআইএ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুই জন কলকাতার উপকণ্ঠেই লুকিয়ে ছিল। আজ তাদের গ্রেফতার করে এনআইএ।মার্চ মাসের ১ তারিখ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে যে আইইডি বিস্ফোরণ হয়েছিল, তাতে আহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ১০ জন। ৩ মার্চ তদন্তভার গ্রহণ করে এনআইএ।
তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, এক যুবক কালো রঙের ব্যাগ নিয়ে এসেছিল। মুখে মাস্ক পরা ছিল। ওই যুবক ইডলি অর্ডার করে। খাবার খেয়ে সে বেরিয়ে যায়। টেবিলের নীচে রেখে যায় ব্যাগটি। মিনিট দশেক পরই ক্যাফেতে বিস্ফোরণ হয়। ঝলসে যান অনেকে। ওই হামলায় মূল অভিযুক্ত ছিল আব্দুল মাথিন ত্বহা ও মুসাভির হুসেন সাজিব। বিস্ফোরণের পর থেকেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছিল। অবশেষে তাঁদের গ্রেফতার করে এনআইএ।
জানা গিয়েছে, কলকাতার উপকণ্ঠেই লুকিয়ে ছিল দুই অভিযুক্ত। তারা পরিচয় গোপন করে থাকছিল। আজ এনআইএ, পশ্চিমবঙ্গ, তেলঙ্গানা, কর্নাটক ও কেরল পুলিশের যৌথ অভিযান করে অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করে।সূত্রের খবর, মুসাভির হুসেন সাজিব নামক যুবককেই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল। সে-ই ব্যাগে করে আইইডি বিস্ফোরক রেখে এসেছিল বেঙ্গালুরুর ওই নামকরা ক্যাফেতে। আব্দুল মাথিনএই বিস্ফোরণকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড। কীভাবে বিস্ফোরক রাখা হবে, কতক্ষণ বাদে বিস্ফোরণ হবে এবং তারপর কীভাবে মুসাভির পালিয়ে আসবে-যাবতীয় পরিকল্পনা করেছিল আব্দুলই।
এনআইএ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত দুইজনের বিরুদ্ধেই ২০২০ সালে সন্ত্রাসের মামলা রয়েছে। আইসিসের বেঙ্গালুরু মডেল- আল হিন্দের সঙ্গে যুক্ত আব্দুল মাথিন ত্বহা।
গোয়েন্দারা ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশরাও এনআইএ-কে তদন্তে সাহায্য করছে। গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন যে দক্ষিণ ভারতে বিস্ফোরণের পর সূদূর বাংলায় কেন তারা ঘাঁটি গাড়ল। এত তাড়াতাড়ি বাড়ি ভাড়াই বা পেল কীভাবে। ধৃত দুই জঙ্গির সঙ্গে বাংলার কারোর যোগাযোগ রয়েছে কিনা, বাংলায় জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেল সক্রিয় রয়েছে কি না, এই বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য্য সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন।। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের কাছে যখনই ইনফরমেশান আসে রাজ্যপুলিশ, জেলা পুলিশ কেন্দ্রীয় এজেন্সি যৌথ ভাবে অপারেশন চালিয়ে দু ঘণ্টার জন্য দুই অভিযুক্ত কে গ্রেফতার করে।।
0 মন্তব্যসমূহ