Header Ads Widget

ERTERTERT

কাঁথির স্ট্রংরুমে ঢুকেছে বিজেপির একাধিক এজেন্ট!

 


জাহাঙ্গীর বাদশার রিপোর্ট :কাঁথির স্ট্রংরুমে ঢুকেছে বিজেপির একাধিক এজেন্ট! চাঞ্চল্যকর দাবি করল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন মুখপাত্র কুণাল এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেনছে  তার এক্স হ্যান্ডেলে। কাঁথির প্রভাত কুমার কলেজে স্ট্রংরুম করা হয়েছে। সেখানেই এই লোকসভা কেন্দ্রের সমস্ত ইভিএম রাখা হয়েছে। 


তৃণমূলের অভিযোগ, ঝড়-বৃষ্টির মাঝে রবিবার রাত্রিতে কলেজে বহিরাগতরা প্রবেশ করে। শুধু প্রবেশ নয়, কলেজের একটি রুমে চাবি খুলে বসেছিল ৪-৫ জন যুবক, এমনটাই অভিযোগ তাদের। গোটা ঘটনার প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায়। কলেজের গেটের বাইরে ভিড় জমান তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। ইভিএমের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে তাঁরা।



কলেজ চত্বরে নিরাপত্তা দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কী করে বহিরাগতরা প্রবেশ করে সেই প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসকদল। গতকাল রাতে স্ট্রংরুমের বাইরে পাহারা দিচ্ছিলেন তৃণমূলে কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বলয় এড়িয়ে কলেজের মধ্যে এনসিসি রুমে চাবি খুলে বসেছিলেন ৪-৫ জন যুবক। তাঁদের দু’জন বিজেপির পোলিং এজেন্ট।


গতকাল সকাল থেকে কলেজের মধ্যে কয়েকজন যুবকের আনাগোনা দেখে সন্দেহ হয় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের। কয়েকজনকে আটকে রাখা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি করে কলেজে যান কাঁথি লোকসভায় বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী ও তমলুক লোকসভা প্রাক্তন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। কলেজ চত্বরের বাইরে তৃণমূল নেতারা জড়ো হন।



এরপর তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ অভিযোগ দায়ের করা হয়। রাতেই কলেজে হাজির হন কাঁথি থানায় উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। দু’জন যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও এ বিষয়ে পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। কাঁথির বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীও এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি।


কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পীযূষ কান্তি পণ্ডা বলেন, ২৫ তারিখ পর্যন্ত নির্বাচনের কার্ড নিয়ে কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের এনসিসি রুমে বিজেপির ৪-৫ জন বসে রয়েছেন। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। কে বা কারা ভেতরে ঢুকল? তাদের উদ্দেশ্য কী? আমাদের কাছে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এ নিয়ে উপযুক্ত তদন্ত দাবি করছি।


তিনি আরও বলেন, অধিকারী পরিবারকে যতটুকু জানি, এরা চুরি করে জিততে বদ্ধপরিকর থাকে। মানুষের রায় চলে এসেছে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী উত্তম বারিক জিতে গিয়েছেন। যেন তেন প্রকারে ইভিএম চুরি করে তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে জেতার চেষ্টা করছে ওরা। দু’জন আটক করা হলেও, কয়েকজন পালিয়ে গিয়েছে।


রবিবার রাতে টুইটে এই সংক্রান্ত ভিডিয়ো পোস্ট করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘কাঁথি কলেজের ভেতরে স্ট্রং রুমে বিজেপি এজেন্ট। NCC রুমে বসে রয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি যেখানে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায় বিজেপির এজেন্ট ঢুকলো কী করে ? তবে এই বিষয়ে বিজেপির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ