জাহাঙ্গীর বাদশার রিপোর্ট :ঠাকুমার পূর্ণ হয়েছে ১০০ বছর, তাই ব্যান্ড পার্টি ঢাক ঢোল বাজিয়ে নাতিরা শ্মশানে নিয়ে যাচ্ছে মৃতদেহ। একদম আনন্দর সাথে চির তোরে বিদায় যাচ্ছেন নাতিরা।
এক অবাক করা দৃশ্য দেখা গেল নবগ্রামের বড়ো বাথান গ্রামের।ওই ঠাকুমার নাম কমলা রানী ঘোষ।তার ৯টা নাতি,বয়স হয়েছে একশোরও বেশি।তাই ঠাকুমা সেঞ্চুরি করেছে দেখেই নাতিদের এমন উদ্যোগ।শেষযাত্রা নয়, যেন শতবর্ষী জীবনের উৎসব! নবগ্রামের বড়ো বাথানে ঠাকুমাকে বিদায় ব্যান্ড পার্টি ঢাক ঢোল নাচ-গানে
শ্মশানে যাওয়ার পথ এভাবে কখনো দেখা যায়?কাঁধে দেহ নয়, কাঁধে বাজছে ঢাক ঢোল।,ছড়ানো ফুলের গন্ধে ভরে উঠেছে পথঘাট।এ যেন শোক নয়, শ্রদ্ধা নয়—এ এক অনন্য জীবনযাত্রার উদ্যাপন!
নবগ্রামের বড়ো বাথান গ্রামের প্রবীণতম মানুষ কমলা রানী ঘোষ প্রয়াত হলেন। বয়স ছুঁয়েছে একশো। তাঁর ৯ জন নাতি, নাতনি, প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাঁকে দেখে বড় হয়েছে। ঠাকুমার মুখে গল্প, সংসারে শান্তি, আর হাসিমুখ—গ্রামের সকলেই জানত, এই মানুষটা ছিলেন এক চলন্ত ইতিহাস।
তাই তাঁর মৃত্যুতে নাতিরা ভাবলেন—শুধু কান্নায় নয়, ঠাকুমার শতবর্ষী জীবনের সম্মানে বিদায় হবে আনন্দে।সেইমতো, বাজনা, ফুলে ভরা গাড়ি আর গ্রামের মানুষের উল্লাসে ঠাকুমাকে নিয়ে যাওয়া হল শেষ যাত্রায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, "কমলা রানী ঘোষ এমন একজন মানুষ ছিলেন, যিনি শুধু পরিবারের নয়, গোটা গ্রামের ঠাকুমা ছিলেন। তাঁর হাসি, আশীর্বাদ, স্নেহে বড় হয়েছি আমরা। শতবর্ষ পেরিয়ে শান্তিতে চলে যাওয়াই তাঁর প্রাপ্তি।"
এই বিরল দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছেন অনেকে। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সবাই বলছেন, “এই মৃত্যু নয়, এ এক জীবনকে উদ্যাপন করার উৎসব।”
আজ নবগ্রামের বড়ো বাথান গ্রামে শুধু একজন প্রবীণাকে নয়, একটি শতবর্ষী অধ্যায়কে সম্মান জানানো হল—নতুনভাবে, ভালোবাসায় ভরা বিদায়ের মধ্য দিয়ে।
0 মন্তব্যসমূহ