অতিবৃষ্টির জেরে একাধিক গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, তাহলে কি পুজোর আগেই বন্যায় ভাসবে ঘাটাল মহকুমা?
অতিবৃষ্টির জেরে হঠাৎ করেই জলস্ফিতি নদীতে। ইতিমধ্যেই একাধিক গ্রামের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, তাহলে কি পুজোর আগেই বন্যায় ভাসবে ঘাটাল মহকুমা?
মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার ভগবন্তপুর ১ নম্বর অঞ্চলের ঘোষকিরা এলাকায়।শিলাবতী নদীর উপর যাতায়াতের একমাত্র কাঠের সেতুটি জলের তলায় চলে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,হঠাৎ করেই নদীর জলস্ফিতি ঘটায় চরম বিপদে পড়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।এই কাঠের সেতুই একাধিক গ্রামের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম, কিন্তু হঠাৎ করেই নদীর তলায় চলে যাওয়ায় স্কুল কলেজ যাওয়া ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে বাসিন্দারা সিঁদুরে মেঘ দেখছে। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির জেরে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে কেঠিয়া খাল আর শিলাবতী নদীতে।
এদিকে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে কয়েক হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে ফলে বন্যার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার অবস্থা চরম বেহাল। এলাকার মানুষজনের দাবি স্থানীয় প্রশাসনকে একাধিকবার স্থায়ী কংক্রিটের ব্রীজ নির্মাণের ব্যাপারে জানানো সত্ত্বেও কাজ হয়নি কিছুই।কিন্তু নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক নেতারা গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান।ভোট মিটলেই সেইসব প্রতিশ্রুতি চলে যায় হিমঘরে। কবে মিটবে সমস্যা সেই দিকেই তাকিয়ে আছে চন্দ্রকোণার মানুষেরা।
এদিকে মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকা পরিদর্শন করেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক খুরশেদ আলি কাদেরী ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার , ঘাটাল মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা।
0 মন্তব্যসমূহ