কথায় বলে বাঙালিদের বারো মাসে তেরো পার্বণ। ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বাইরেও বেশ কিছু অনুষ্ঠান আছে যেগুলোর সম্পর্ক খাদ্য রসিক বাঙালিদের রসনাতৃপ্তির সাথে।
আর এই সব খাদ্য সংক্রান্ত অনুষ্ঠানগুলো এলাকা ভেদে এক এক রকম। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই সব নিয়ম এক এক পরিবারে এক এক রকমের।যেমন সরস্বতী পুজোর দিন ঘটিদের নিয়ম "গোটা সেদ্ধ" আর বাঙালদের নিয়ম "জোড়া ইলিশ"।
পূর্ব বঙ্গের ঢাকা,ময়মনসিংহ,বরিশাল সহ বেশ কিছু এলাকার মানুষের সরস্বতী পুজোর দিন জোড়া ইলিশ মাছ ঘরে তোলার নিয়ম চলে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। আসলে পদ্মা নদীতে দূর্গাপূজার দশমীর পর থেকে ইলিশ মাছ ধারায় থাকে নিষিদ্ধ। এই সময় তাই ইলিশ মাছ খাওয়াও বন্ধ থাকে।প্রায় দু মাসের ব্যান পিরিয়ডের পর আবার মাছ ধরা শুরু হয় এই সময়।নতুন করে ইলিশ মাছ খাওয়ার আগে তাই উৎসব প্রিয় বাঙালি মেতে ওঠে উৎসবে।
সরস্বতী পূজার দিন জোড়া ইলিশ মাছ রীতিমতো ধান-দূর্বা-সিঁদুর দিয়ে বরণ করে কচুপাতা কিম্বা লাউপাতা সহ তোলা হয় রান্নাঘরে এবং রান্না করা হয়।উৎসবপ্রিয় বাঙালিদের জীবনে এই সব ছোট ছোট উৎসবগুলো খুশির বার্তা নিয়ে আসতো।বর্তমান মূল্যবৃদ্ধির যুগে মানুষের পকেটে পরেছে টান আর ইলিশের দামও উর্দ্ধগামি।ইচ্ছে থাকলেও এখন সব বাঙালির মেতে ওঠা হয় না জোড়া ইলিশ উৎসবে।
0 মন্তব্যসমূহ