এত সুন্দর চুলটা কেটে ফেললি?কি সুন্দর ছিল চুলটা।একটুও ভালো লাগছে না। মাথায় কি এমন পোকা নড়ল তোর,এক পিঠ চুলটা ছিল,কি সুন্দর লাগছিল,এখন একদম ভালো লাগছে না।বাজে লাগছে,এরকম আমাকেও শুনতে হয়েছে।
এক ঢাল ঘন কালো চুল কার না পছন্দ!সব দিয়ে দিলেও চুল দেওয়া টা খুব কঠিন তাই না।চুলের প্রতি সবার ভীষণ মায়া আছে,কিন্তু এই প্রিয় জিনিস টা অন্যকে দেওয়া কি সহজ কথা!অন্যের মুখে হাসি ফোটাতে অনেকেই এগিয়ে আসেন,অনেক রকম উপায়ে, তবে কেশদান!!এতটা সাহসিকতার পরিচয় মনে হয় খুব কম জনই দিতে পারে,আমাকে অনেকে বলছে, -"আচ্ছা তোর একটুও কষ্ট হল না?যখন চুলটা কাটলি?তোকে দেখে আমাদেরই কষ্ট হচ্ছে,ইস এতটা চুল!
আমার কিন্তু একটুও কষ্ট হয় নি।আমার চুল টা অন্য কাউকে ভীষণ ভাবে খুশি করবে।তাদের খুশি টাই তো ভীষণ বড়ো একটা পাওনা।চুল তো এমনিতেই বড়ো হয়ে যাবে।আরে বাবা আমি তো আর হাত পা কাটিনি,চুলই তো কেটেছি কিন্তু একটা মরনব্যাধি ক্যান্সার আক্রান্ত পেশেন্ট কে এটা দিতে পেরে আমি ভীষণ খুশি।নিজেকে কেশহীন অবস্থায় দেখতে ক্যান্সার পেশেন্ট দের একটুও ভালো লাগে না।আয়নার সামনে তারা নিজেদের দিকে তাকাতে পারে না।মানসিক দিক দিয়ে খুব ভেঙে পড়ে, তাই আমার তরফ থেকে ছোট্ট প্রয়াস।ক্ষুদ্র উপহার।
নিন্দুকেরা অনেক কথা বলবে,আমি এসব গায়েও মাখবো না,কারণ সেই সময় মনে পড়বে যে এই চুল টা পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হবে তার হাসিটা,ব্যাস আর চাই কি।এটাই তো সব খারাপ লাগা দূর করে দেবে।আর হ্যাঁ আমার চুল ছোট নিয়ে যে যা বলে বলুক আমার কিছুই যায় আসবে না।কারোর মুখে তো হাসি ফুটবে এটাই অনেক বড়ো প্রাপ্তি আমার।
*অভয়া রায়* সদস্য, JB Live News
0 মন্তব্যসমূহ