বুরো রিপোর্ট জে বি নিউজ:ভোট আসে ভোট যায়, ভোট শেষে রাজনৈতিক নেতাদের ভোটপূর্ববর্তী প্রতিশ্রুতিও ভেসে যায় জয়পণ্ডার জলে...। তালডাংরার পাঁচমুড়া এলাকার বাঁশকোপা, জুমড়ি, ডোমখুল্যা,আগয়া সহ ফুলমতি গ্রাম পঞ্চায়েত ও মাসাতখাল সহ সিমলাপাল ব্লক এলাকার সামান্য অংশের সহ অন্তত প্রায় ১৫ টি গ্রামের মানুষের দূর্ভোগের দিন শেষ হয়না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বর্ষার জলে ফুলে ফেঁপে ওঠা জয়পণ্ডা নদী পেরিয়েই এপারে পাঁচমুড়া বাজারেই আসতে হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জয়পণ্ডা নদীর উপর বাঁশকোপা ঘাটে সেতু তৈরীর দাবি দীর্ঘদিনের। বিগত বাম আমল থেকে বর্তমান মা-মাটি-মানুষের সরকারের কাছে বারেবারে আবেদন জানানো হয়। জানা যায় প্রশাসনিক উদ্যোগে এই সেতু তৈরীর উদ্যোগ নেওয়া ও মাটি পরীক্ষার কাজ হলেও ওই পর্যন্তই। সেতু তৈরীর কাজ এক চুলও এগোয়নি। এই অবস্থায় যেহেতু নদী তীরবর্তী ওই গ্রাম গুলির মানুষ রুটি রুজির টানে বাজার, ঘাট, স্কুল, কলেজ ও এমনকি স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য বারে বারে নদীর এপারে পাঁচমুড়া বাজারে ছুটে আসতে হয়, সেই কারণে গণ উদ্যোগে এক সময় কাঠের সেতু তৈরী হলেও জয়পণ্ডার করাল গ্রাসে তা বিলীন হয়ে গেছে। ফলে প্রতিটি ভোটের আগে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ছুটলেও কাজের কাজ আর হয়না কোনকালেই। সেই প্রাচীন প্রচলিত কথা যার নদি পাড়ে বাস তার চিন্তা বারো মাস এ যেন অক্ষরে অক্ষরে পালন মিলে যাচ্ছে এই গ্রাম গুলির মানুষের দৈনন্দিন জীবনে
বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক দীপক কুমার দাসের দাবি, বাম থেকে তৃণমূল রাজ্যে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকলেও কেউ কথা রাখেনি। বাঁশকোপা এলাকার মানুষ নদী সমস্যায় জর্জরিত। এবার তাঁদের দল ক্ষমতায় আসার পর সবার প্রথমে এই সেতু তৈরী করবে বলে তিনি দাবি করেন।
তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি তারাশঙ্কর রায়ের দাবি তাঁরা 'কথা দিয়ে কথা রাখে'ন।ধীরে ধীরে সব হবে। একটি সেতু তৈরীতে বিপুল পরিমান টাকার প্রয়োজন হয়। তবে আগামী দিনে এই সেতুও তৈরী হবে বলে তিনি জানান।
0 মন্তব্যসমূহ