Header Ads Widget

ERTERTERT

পশ্চিম মেদিনীপুরে ডেঙ্গুতে বলি ১

 পশ্চিম মেদিনীপুরে ডেঙ্গুতে বলি ১




বর্ষা শুরুর পর থেকেই রাজ্যে জাঁকিয়ে বসছে ডেঙ্গির মতো মারণ রোগ। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর মিলেছে।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গির বাড় বাড়ন্তে ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল গুলিতে ডেঙ্গু আক্রান্তরা চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতরের সূত্র মতে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে ৪ জন,শালবনি হাসপাতালে ১,ঘাটাল হাসপাতালে ৮ জন,ডেবরা হাসপাতালে ৩ জন এবং মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ২৮ জন সহ জেলায় এখনও অবধি মোট ৪৪জন সহ ৩ জন ক্রিটিক্যাল ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।শুক্রবার এক যুবকের মৃত্যুর খবর সামনে আসে।


মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন রবীন্দ্রনগরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার এক যুবক ভর্তি হয়েছিলেন। শুক্রবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে মারা যান ওই যুবক।২৭ বছরের ওই যুবকের মৃত্যুর পরেই জেলাশাসক কে নিয়ে বৈঠকে বসেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা। ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও পুরসভা কর্মীরা তৎপর ভূমিকা পালন করছেন, জেলার সমস্ত ওয়ার্ডগুলিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 
এদিকে ডেঙ্গির প্রভাব শহর সহ জেলায় পরপর থাবা বসাতেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন। রক্তভাণ্ডারে প্লেটলেটের ঘাটতি ঠেকাতে আগেই গাইডলাইন জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।এবং তা জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।  
এদিকে ডেঙ্গির প্রভাব শহর সহ জেলায় পরপর থাবা বসাতেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন। রক্তভাণ্ডারে প্লেটলেটের ঘাটতি ঠেকাতে আগেই গাইডলাইন জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।এবং তা জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।  
গাইডলাইন এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে,ডেঙ্গি আক্রান্তদের প্লেটলেট কাউন্ট ১০ হাজারের নীচে গেলে প্লেটলেট দিতে হবে। যেসব রোগীদের প্লেটলেট কাউন্ট ১০ থেকে ২০ হাজারের মধ্যে, সেক্ষেত্রে রক্তপাত না হলে প্লেটলেট দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কোন গ্রুপের প্লেটলেট প্রয়োজন, প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করতে হবে।
তবে ডেঙ্গির বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্লেটলেট নিয়ে খানিকটা আতঙ্ক তৈরি হয়।অনেকেই ভেবে বসেন, ডেঙ্গি হলেই হাসপাতালে ভর্তি করে প্লেটলেট দিতে হবে। স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা আশ্বস্থ করে বলেন,আসলে সবক্ষেত্রে এমন হয় না, প্লেটলেট কমতে শুরু করলে তা নিয়ে প্রথমেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। অনেক সময়ে নিয়ম মেনে রোগীর যত্ন করলেই প্লেটলেট বেড়ে যায়। এবং রোগী পুরোপুরি ভাবে সুস্থ হয়ে ওঠেন।বাসিন্দাদের অকারণে ভয় না পেয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ