Header Ads Widget

ERTERTERT

ডাকাতির ভয়ে কাঁপছে পুলিশ। ৮টা বাজলে বন্ধ হচ্ছে রাস্তা বীরভূমের মল্লারপুরে।


বীরভূম থেকে জাহাঙ্গীর বাদশার রিপোর্ট ২০ মার্চ :-ছিনতাইবাজ ও দুষ্কৃতিদের দাপটে আতঙ্কিত পুলিশ। দুষ্কৃতিদের দাপটে সন্ধ্যার পর এলাকায় যান চলাচল বন্ধ । দুষ্কৃতিদের ভয়ে ওই এলাকায় দিয়ে যাতায়াত করতে পারে না সাধারণ মানুষ। দুষ্কৃতিদের দমন করতে না পেরে রাস্তা বন্ধ করে দিতে হয় বীরভূমের মল্লারপুর থানার পুলিশকে। এলাকায় টহলদারির বদলে লোকালয়ের কাছে চুপ করে রাতের অন্ধকারে দাঁড়িয়ে ডিউটি দিতে হয় পুলিশ কর্মীদের। দুষ্কৃতিদের কবল থেকে রেহাই দিতে রাতের অন্ধকার নামলেই ওই এলাকা দিয়ে কোন যানবাহন যেতে দেননা পুলিশ কর্মী কর্মীরা। হ্যাঁ এমনটাই অবস্থা বীরভূমের মল্লারপুর থানার পুলিশের।


বর্তমানে তারাপীঠ একটি জনপ্রিয় তীর্থক্ষেত্র। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিদিন শয়ে শয়ে গাড়িতে চড়ে তারাপীঠে আসেন পূর্ন্যার্থীরা। রানীগঞ্জ-মোড়গ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে তারাপীঠ যাতায়াতের দুটি রাস্তা রয়েছে। একটি মল্লারপুর থানার আম্বা মোড় থেকে আটলা গ্রাম হয়ে তারাপীঠ। আরেকটি রামপুরহাট থানার চাকপাড়া মোড় থেকে তারাপীঠ। কিন্তু সন্ধ্যা নামলেই এই দুটি রাস্তা দিয়ে সমস্ত যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। মল্লারপুরের আম্বা মোড়ে এবং অপর প্রান্তে গুরচন্দ্রপুর গ্রামের কাছে মল্লারপুর থানার পুলিশ রীতিমতো গার্ডরেল দিয়ে ব্যারিকেড করে বন্ধ করে রাখে রাস্তা। একই অবস্থা রামপুরহাট থানার চাকপাড়া ও আটলা মোড়ে। ফলে যানবাহন নিয়ে তারাপীঠ মন্দিরে যাতায়াত করা পূর্ন্যার্থী চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়।


 অভিযোগ, দীর্ঘ ছ'মাস ধরে চলছে পুলিশের ব্যারিকেড। পথচারীদের এই অভিযোগ সরেজমিনে দেখতে রাত্রি দশটা নাগাদ আমরা তারাপীঠ থেকে বেড়িয়ে পড়েছিলাম মল্লারপুরের দিকে। তারাপীঠ মন্দির থেকে আটলা যাওয়ায় রাস্তায় প্রথম ব্যারিকেডে আটকানো হলো আমাদের গাড়ি। সেখানে ডিউটিরত সিভিক ভল্যান্টিয়ারদের সাফকথা বড় সাহেবের অর্ডার এই রাস্তা দিয়ে কোন যানবাহন যেতে দেওয়া হবে না। কারন জানতে চাওয়া হলে সিভিক ভল্যান্টিয়ার জানান, এই রাস্তায় ছিনতাই হয়। তাই রাতের বেলা রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়। কোনভাবে সেই ব্যারিকেড পেড়িয়ে ওই রাস্তা ধরে চার কিলোমিটার এগিয়ে যেতে একই অবস্থা। বামদেবের জন্মস্থান আটলা গ্রাম পেড়িয়ে একই কায়দায় গার্ডরেল দিয়ে রাস্তা ব্যারিকেড করে রেখেছে মল্লারপুর থানার পুলিশ। সেখানে রয়েছেন সিভিক ভল্যান্টিয়ার । পাশেই পুলিশের ভ্যানে বসে রয়েছেন খাঁকি উর্দিধারী এক পুলিশ কর্মী। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, এই রাস্তায় চুরি ছিনতাই হয়। তাই মল্লারপুর থানার বড়বাবুর অর্ডার রাত্রিবেলায় এই রাস্তা দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না।


বীরভূম জেলা পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পথচারীরা। তাহলে কি মল্লারপুর থানার পুলিশ  দুষ্কৃতিদের দমন করতে ব্যর্থ। দুষ্কৃতিদের দমন করতে এলাকায় পুলিশের টহলদারি না করে কেন তারাপীঠে যাতায়াত করা যানবাহন বন্ধ করে দিচ্ছে বীরভূম পুলিশ। পুলিশের এই ভূমিকায় সরব হয়েছেন এলাকার রাজনৈতিক নেতারা। বিজেপির অভিযোগ, সন্ধ্যা নামলেই জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের ভ্যানে চেপে পুলিশ কর্মীরা জাতীয় সড়ক ধরে যাতায়াত করা পাথর ও বালি বোঝাই লরি থেকে টাকা আদায় করতে ব্যস্ত থাকেন। তাহলে তারা কিভাবে মানুষের নিরাপত্তা দেবেন।


একই অভিযোগ সিপিএমের। সিপিএমের বীরভূম জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সঞ্জীব মল্লিক বলেন, সন্ধ্যা নামলেই মল্লারপুরের আম্বা মোড় দিয়ে শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চল থেকে হাজার হাজার ওভারলোড লরি যাতায়াত করে। রাতভর টাকা নিয়ে সেই লরি যাতায়াতের সুবিধা করে দেয় পুলিশ। তাই সেই সময়কালে ওই রাস্তা দিয়ে কোন ছোট যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হয় না।   রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। যদি এইরকম হয়ে থাকে তাহলে তিনি পুলিশের উর্ধতন আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ